Verified By Apollo General Physician August 14, 2023
1043আজকে আমরা ভারতের 74 তম স্বাধীনতা দিবস পালন করলেও covid-19 এখনো আমাদের জীবনকে ব্যাপকভাবে অবদমন করে চলেছে।
আজ আমাদের দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করলেও, নীতি আয়োগ দ্বারা প্রকাশিত স্বাস্থ্য সূচক 2019 অনুযায়ী, সমজাতীয় আর্থিক উন্নয়নযুক্ত দেশের তুলনায় অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সূচকে আমরা পিছিয়ে আছি।
ভারতবর্ষ দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যক পূর্ণবয়স্ক ডায়াবেটিস রোগীদের আবাসস্থল। এছাড়া বর্তমানে তরুণদের মধ্যেও অন্যান্য অসংক্রামক রোগ, যেমন ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলত্ব, হৃদপিন্ডের রোগ, শ্বাস-প্রশ্বাস ঘটিত রোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাপক হারে বাড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) ভারতের চরম রোগগুলির প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তা যথেষ্ট আতঙ্কজনক। তরুণদের মধ্যে ক্যান্সার এবং উচ্চরক্তচাপ প্রবল পরিমাণে দেখা দিচ্ছে। ভারতীয় পরিবারের প্রায় 25% পরিবারে একজন করে হৃদপিণ্ডঘটিত রোগে ভোগা মানুষ আছেন এবং ভারতের হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও)-এর মতে, এনসিডি ইতিমধ্যেই বিশ্বজনীন ভাবে 70% এরও বেশী মৃত্যুর জন্য দায়ী। প্রায় 67% মানুষ এনসিডিতে ভোগেন এবং COVID-19-এ প্রায় 87% মৃত্যু ঘটেছে সহ-রোগজনিত কারণে।
পরিহাসের বিষয় হল যে COVID-19 –এর মত উচ্চ সংক্রামক রোগগুলি অসংক্রামক রোগগুলির (এনসিডি) মধ্যে অন্তর্নিহিত বিপদগুলিকে প্রকাশ করছে। কিন্তু ভারতের অধিকাংশ মানুষ, যাদের দৈনন্দিন যত্ন প্রয়োজন, তারা COVID-19 সংক্রমণের ভয়ে তাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষাকে স্থগিত করে রেখেছেন।
এটা কোন আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, যেসব মানুষের এক বা একাধিক এনসিডি রয়েছে তারাই COVID-19 এর জন্য বিশেষত বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এবং তাদেরই প্রচণ্ড অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। নিরাপত্তার খাতিরে চিকিৎসায় দেরি, দৈনন্দিন স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যাঘাত তাদের আরও বেশী ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
COVID-19 এর এই ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে, বর্তমানের অতিমারীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে এনসিডিকে চিহ্নিত করা এবং যেকোনো অন্তর্নিহিত রোগের চিকিৎসা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুখবর হল রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মধ্যে আছে, একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সহ স্বাস্থ্যকর জীবনশৈলী, উপযুক্ত ব্যায়াম এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে নানা রোগ এড়ানো যায় এবং জীবন বাঁচানো যায়।
নিয়মিত আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে যে আপনি সামগ্রিকভাবে কেবল ভালো থাকবেন তাই নয়, এটা যেকোনো রোগ বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকির বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যাওয়ার আগেই সতর্কতা দিতে পারে। বিশেষত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জীবনদায়ী হতে পারে কারণ এটি আমরা কতটা সুস্থ আছি তা আমাদের জানান দেয়। অন্যান্য সুবিধাগুলি হল:
অ্যাপোলোতে আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে, জ্ঞানই হচ্ছে সর্বোচ্চ শক্তিশালী শক্তি, যা কোন মানুষ অর্জন করতে পারে এবং কোন অন্তর্নিহিত রোগের সম্পর্কে জানলে তা এই কঠিন সময়গুলিতে জীবনদায়ী হতে পারে, বিশেষত যখন দেখা যাচ্ছে যে COVID-19 অতিমারীতে অন্তর্নিহিত রোগ যুক্ত মানুষদের ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
আরো বেশী স্বাস্থ্যকর ভারতবর্ষ গড়ে তুলতে আমরা অ্যাপোলো প্রোহেলথ-কে নিবেদন করতে পেরে অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। এটি বিশেষভাবে তৈরি পার্সোনালাইজড এআই-নির্মিত হেলথ ম্যানেজমেন্ট 3 বছরের অনুষ্ঠান। এটি অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) অথবা জীবনশৈলী ঘটিত রোগের অনুমান, প্রতিরোধ এবং সুস্থ হয়ে ওঠার নির্দেশাবলীর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
এই অনন্য অনুষ্ঠানটি দীর্ঘ চার দশকেরও বেশী সময় ধরে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার জন্য অ্যাপোলোর পথপ্রদর্শনকারী প্রচেষ্টার ফলাফল। গভীর জ্ঞানসমৃদ্ধ এবং একটি এনসিডি মুক্ত পৃথিবী গড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একটি চিকিতসাবিদ্যায় দক্ষ দলের দ্বারা তৈরি হয়েছে। এই এআই-নির্মিত অনুষ্ঠানটি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী এবং পার্সোনালাইজড কাস্টোমাইজড দৃষ্টিভঙ্গির ফলে প্রযুক্তি এবং মানব সম্পদের মেলবন্ধন ঘটেছে। অ্যাপোলো প্রোহেলথ একজন ব্যক্তিকে তাঁর স্বাস্থ্যের যাবতীয় বিশদ বিবরণ দেয়, যার উপর ভিত্তি করে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে এবং তা দূর করতে পারেন এবং আরো বেশী স্বাস্থ্যকর এবং আনন্দমুখর জীবন যাপন করতে পারবেন।
অ্যাপোলো হাসপাতাল রোগীর সুরক্ষা প্রোটোকল কঠোর ভাবে মেনে চলে, যাতে আপনি অথ্যন্ত নির্ভুল অভিজ্ঞতা পান এবং একটি সংক্রমণ মুক্ত এবং COVID-19 মুক্ত এলাকায় থাকতে পারেন। যে সমস্ত ব্যক্তি অ্যাপোলো হাসপাতালে প্রবেশ করেন, তাদের প্রত্যেককে সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষা করা হয়।
যেকোনো চিকিৎসাক্ষেত্রে ঢোকার আগে কর্মীদের প্রতিদিন পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও, এখানে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভঙ্গ করার জন্য সংস্পর্শ বিহীন লেনদেনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বেশ কিছু আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়, যেমন – আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের পরই ঢোকার অনুমতি, সংস্পর্শবিহীন টাকাপয়সার লেনদেন, অনলাইন রিভিউ ও দেখভাল করা হয়, যাতে কাউকে একেবারেই অপেক্ষা না করতে হয় এবং সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখা যায়। হাসপাতাল চত্বরে কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণও মেনে চলা হয়।
যেসব রোগীদের COVID-19 এর উপসর্গ থাকতে পারে, যারা আপৎকালীন বিভাগ দিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন, তাদেরও পৃথক করে রাখা হয়, যাতে তাদের অন্য রোগী, যারা COVID-19 ছাড়া অন্য কোনো শারীরিক অসুবিধা নিয়ে এসেছেন, তাদের সঙ্গে কোনোপ্রকারের সংস্পর্শ না হয়।
অ্যাপোলো হাসপাতাল সর্বক্ষেত্রে মুখে মাস্ক পরার নীতি চালু করেছে, যার অর্থ হল যেকোনো চিকিৎসাক্ষেত্রে, কর্মী সহ প্রত্যেকেই সব সময় মুখে মাস্ক পরে থাকবে।
উপসংহার
অ্যাপোলোতে আমরা বিশ্বাস করি যে “এক বিন্দু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এক দুনিয়া আরোগ্যের সমতুল্য”। এবং এই বিশ্বজনীন মহামারীর সময় যখন মানুষের প্রাণ সব সময় উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তখন যে কোনো শারীরিক অসুবিধার চিকিৎসা না করা অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সতর্কতামূলক যত্ন আপনার শরীরের নানা ঝুঁকি কমানোর একমাত্র অস্ত্র। এখন যখন আমরা আমাদের সবচেয়ে দুর্বল সময়ে আছি, তাই এখন আপনার ভালো থাকাকে একেবারেই অবহেলা করবেন না।
এই স্বাধীনতা দিবসে আসুন, আমরা রোগ থেকে মুক্তিকে উদযাপন করি এবং স্বাস্থ্য এবং আনন্দকে সাগ্রহে বরণ করে নিই।
Our expert general medicine specialists verify the clinical accuracy of the content to deliver the most trusted source of information makine management of health an empowering experience