ডিসারথ্রিয়া কী?
ডিসারথ্রিয়া বাকশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার রোগ, যেখানে বাকশক্তির পেশীগুলি দুর্বল হয়ে যায় অথবা আপনি এগুলিকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এই রোগের ফলে ঘোলাটে বা বিরবিড় করে কথা বলতে পারেন রোগী, যা অন্য লোকের বুঝতে অসুবিধে হতে পারে।
ডিসারথ্রিয়ার ব্যাপারে আরো বিশদ বিবরণ
বাকশক্তির জন্য অনেকগুলি পেশী দায়ী, যেমন মুখ, ঠোঁট, গলা এবং জিহ্বার পেশী। যদি এই পেশীগুলি দুর্বল হয়ে যা তবে কথা বলা মুশকিল হয়ে যেতে পারে।
মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর ক্ষতির কারণে এবং যে রোগগুলির কারণে মুখের প্যারালাইসিস অথবা পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে, তাদের কারণে ডিসারথ্রিয়া হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধের কারণেও ডিসারথ্রিয়া হতে পারে।
ট্রমা জনিত মস্তিষ্কে আঘাত, স্ট্রোক অথবা অন্য কোন স্নায়বিক অসুস্থতার কারণে ডিসারথ্রিয়া, এফাশিয়া, অ্যাপ্রাক্সিয়া এবং বৌদ্ধিক অথবা কথোপকথনের অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।
- ডিসারথ্রিয়া: যাদের ডিসারথ্রিয়া রোগ আছে, তারা চোয়াল, জিহ্বা ও ঠোঁটের সীমিত চলনের ফলে ‘বিড়বিড়’ অথবা ‘কথা জড়িয়ে যাওয়া’ অনুভব করতে পারেন। এর ফলে গলার তীব্রতা ও গুণমান (কর্কশতা অথবা শ্বাসকষ্ট) পালটে যেতে পারে।
- অ্যাফাশিয়া: একজন ব্যক্তি নিজেদের প্রকাশ করতে (এক্সপ্রেসিভ ল্যাঙ্গুয়েজ ইমপেয়ারমেন্ট) অথবা অন্যদের বুঝতে (রিসেপ্টিভ ল্যাঙ্গুয়েজ ইম্পেয়ারমেন্ট) অসুবিধা হতে পারে। ‘কথাটা প্রকাশ করতে’ অথবা ‘পেটে আসছে মুখে আসছে না’ (শব্দ খুঁজে না পাওয়ার অক্ষমতা) -এই অসুবিধে হতে পারে। অ্যাফাশিয়ায় পড়তে এবং মুদ্রিত লেখা বুঝতে বা নিজেদের নাম, অক্ষর এবং সংখ্যা লিখতে অসুবিধে হতে পারে।
- অ্যাপ্রাক্সিয়া: যাদের অ্যাপ্রাক্সিয়া আছে, তারা জানেন যে তারা কী বলতে চান, কিন্তু নির্দিষ্ট আওয়াজের জন্য পেশীগুলির প্রয়োজনীয় জটিল স্নায়বিক সংযোগের ক্ষেত্রে অসুবিধে অনুভব হতে পারে। এই লোকদের কোনো আওয়াজ করতে বা অনুকরণ করতে অসুবিধা হয়। এই ভুলগুলির মধ্যে শব্দের বিকৃতি, বাদ চলে যাওয়া এবং প্রতিস্থাপিত হয়ে যাওয়া থাকতে পারে। এবং এই ভুলগুলি কখনোই এক রকম হয় না।
ডিসারথ্রিয়ার প্রকারভেদগুলি কী কী?
বিভিন্ন প্রকারের ডিসারথ্রিয়া হয়। এই শ্রেণীবিভাগগুলি উপসর্গ অথবা এর অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত –
- স্প্যাস্টিক
- অ্যাটাক্সিক
- ডাইসকাইনেটিক
- হাইপোকাইনেটিক
- হাইপারকাইনেটিক
- ফ্ল্যাক্কিড
- ইউনিল্যাটেরাল আপার মোটর নিউরোন
- সংমিশ্রিত
- অনির্ণায়িত
ডিসারথ্রিয়ার উপসর্গগুলি কী কী?
প্রকারভেদ এবং অন্তর্নিহিত কারণগুলির উপর ভিত্তি করে এক এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই বাচন শক্তি সংক্রান্ত রোগের নানা রকম উপসর্গ দেখা যায়। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা যায় –
- আস্তে কথা
- কথা জড়িয়ে যাওয়া
- জোরে কথা বলতে না পারা (ফিসফিস আওয়াজ)
- অত্যন্ত দ্রুত কথা, যা বোঝা মুশকিল
- অনিয়মিত বলার ছন্দ ও আওয়াজ
- মুখের মাংসপেশি ও জিহ্বা নড়াতে মুশকিল হওয়া
- আপনার কণ্ঠস্বর পালটে যেতে পারে। আপনার কণ্ঠস্বরে শ্বাসকষ্ট হবার লক্ষণ দেখা দিতে পারে অথবা কণ্ঠস্বর কর্কশ লাগতে পারে অথবা আপনার নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অনুভূতি হতে পারে।
- শারীরিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে, চোয়াল, ঠোঁট ইত্যাদির কম্পন এবং দুর্বলতা।
কখন ডাক্তার দেখাতে যাওয়া উচিৎ?
ডিসারথ্রিয়া কেবল একটি বাকশক্তির রোগ নয়, বরং আরো তীব্র কিছুর ইঙ্গিত করতে পারে। যদি আপনার কোনো অবর্ণনীয় বা আকস্মিক বাকশক্তির পরিবর্তন অনুভূত হয়, তবে নিশ্চয়ই অতি সত্বর আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ডিসারথ্রিয়ার কারণগুলি কী কী?
অসংখ্য কারণগুলির(অন্তর্নিহিত কারণ) মধ্যে কিছু হল নিম্নলিখিত –
- মাথায় আঘাত পাওয়া
- মস্তিষ্কে টিউমার
- লৌ গেহ্রিগের রোগ অথবা এএলএস (অ্যামাইওট্রপিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস), যা হল একটি স্নায়ুঘটিত রোগ
- সেরিব্রাল পালসি (একটি বৌদ্ধিক রোগ)
- মাস্কুলার ডিসট্রফি (একটি বংশগত রোগ)
- গুলেইন-বেয়ার সিন্ড্রোম (একটি স্নায়ুঘটিত রোগ)
- বহুসংখ্যক স্ক্লেরোসিস (একটি তীব্র কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রঘটিত রোগ)
- মায়াসথেনিয়া গ্রেভিস (একটি স্নায়ু-পেশিঘটিত রোগ)
- হান্টিংটনের রোগ (একটি প্রোগেস্রিভ মস্তিষ্ক ঘটিত রোগ)
- লাইম রোগ (একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রামক রোগ)
- উইলসনের রোগ (একটি বংশগত রোগ)
- স্ট্রোক
- পারকিনসনের রোগ (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের রোগ)
- লাইমের রোগের মত সংক্রমণ
- অন্যান্য ডিজেনেরেটিভ মস্তিষ্ক ঘটিত রোগ
- সেডেটিভ, অ্যান্টি-এপিলেপ্টিক্স ইত্যাদির মত নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- বৌদ্ধিক ট্রমা/সার্জারি
ডিসারথ্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকিগুলি কী কী?
নিম্নলিখিত বিষয়গুলির কারণে ডিসারথ্রিয়া হলে আপনার ঝুঁকি থাকার সম্ভাবনা আছে –
- স্নায়ু-পেশি ঘটিত রোগ
- স্ট্রোক
- অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করা
- পদার্থের অপব্যবহার
- ডিজেনেরেটিভ মস্তিষ্কের রোগ
- খারাপ স্বাস্থ্য
- বয়স
কীভাবে ডিসারথ্রিয়াকে নির্ণয় করা যায়?
একজন এসএলপি (বাকশক্তি-ভাষা প্যাথোলজিস্ট) পরীক্ষা করে দেখবেন যে আপনার কী ধরণের বাকশক্তিজনিত রোগ আছে। এই পরীক্ষার ফলে ডাক্তার (স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ) আপনার সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে পারবেন।
শারীরিক চিকিৎসা, রক্তপরীক্ষা এবং মূত্রপরীক্ষার পাশাপাশি আপনার ডাক্তার নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলিও করতে পারেন –
- ইমেজিং টেস্ট। সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করলে আপনার কথা বলার সমস্যার মূল সমস্যাটি সহজে নির্ণয় করা যায় কারণ এগুলি আপনার মাথা, ঘাড় এবং মস্তিষ্কের বিশদ ছবি প্রদান করে।
- স্নায়ু ও মস্তিষ্কের গবেষণা। এই পরীক্ষাগুলি আপনার উপসর্গগুলির আসল কারণ নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। স্নায়ু বিষয়ক গবেষণা বৈদ্যুতিক উদ্দীপনাগুলির গতি এবং শক্তি পরিমাপ করে, যখন এগুলি স্নায়ু থেকে পেশির দিকে যাত্রা করে।
- একটি ইইজি (ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম) আপনার মস্তিষ্কের অভ্যন্তরের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরিমাপ করবেন।
- যখন বৈদ্যুতিক উদ্দীপনাগুলি স্নায়ুর মাধ্যমে পেশিতে পৌঁছায়, তখন একটি ইএমজি (ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাম) এগুলিকে পরীক্ষা করবে।
- রক্ত ও মূত্র পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটি শনাক্ত করতে সাহায্য করে যে আপনার উপসর্গগুলির কারণ কোনো প্রদাহ সৃষ্টিকারী বা সংক্রামক রোগ কিনা।
- মেরুদণ্ডে আঘাত (লুম্বার পাংচার)। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সুষুম্নাকাণ্ড অথবা মস্তিষ্কের ক্যান্সার, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ঘটিত রোগ এবং তীব্র সংক্রমণ জনিত রোগ নির্ণয় করা যায়। এই পরীক্ষার জন্য ডাক্তার আপনার লুম্বার অঞ্চলে (পিঠের নিচের দিকে) একটি ছুঁচ ফোটাবেন এবং ল্যাবে পরীক্ষা করানোর জন্য আপনার সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডের সামান্য নমুনা সংগ্রহ করবেন।
- মস্তিষ্কের বায়োপ্সি। এই পরীক্ষার জন্য আপনার ডাক্তার আপনার মস্তিষ্কের কলার একটি ছোট্ট নমুনা সংগ্রহ করবেন। যদি ডাক্তার মস্তিষ্কের টিউমার সন্দেহ করে থাকেন তবেই তিনি এই পরীক্ষা করতে বলবেন।
- নিউরোসাইকোলজিক্যাল টেস্ট। এই পরীক্ষাগুলি আপনার কথার প্রতি সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা, বৌদ্ধিক (চিন্তন) দক্ষতা, লেখা ও পড়ার ক্ষমতাকে পরিমাপ করে। ডিসারথ্রিয়ায় আপনার কথা বোঝা, লেখা অথবা বৌদ্ধিক দক্ষতার কোনো ক্ষতি হয় না।
আপনার ডাক্তার কীভাবে ডিসারথ্রিয়ার চিকিৎসা করবেন?
এই বাকশক্তির রোগের চিকিৎসা মূলত রোগের অন্তর্নিহিত কারণ, উপসর্গের তীব্রতা এবং কী প্রকার ডিসারথ্রিয়া আপনার হয়েছে, তার উপর নির্ভর করে। তাই আপনার চিকিৎসার মাধ্যমে বাকশক্তি আরো ভালো হয়ে যাওয়ার কথা। আপনার অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে আপনার ডাক্তার আপনার চিকিৎসা শুরু করতে পারেন।
ভাষা ও স্পিচ থেরাপি।
আপনার বাকশক্তি ও কথোপকথনকে উন্নত করার জন্য আপনার ডাক্তার ভাষা ও স্পিচ থেরাপি শুরু করে দিতে পারেন। আপনার চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হল নিম্নলিখিতগুলি –
- আপনার মুখের দুর্বল পেশিকে শক্তিশালী করে তোলা
- আপনার কথা বলার গতিবেগ বৃদ্ধি করা
- আপনার শ্বাসের সাহায্য বৃদ্ধি করা।
- শব্দের উচ্চারণ আরো ভালো করা
- আপনার বন্ধু ও পরিবারকে আপনার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে সাহায্য করা।
কথোপকথনের বৈকল্পিক উপায়সমূহ।
যদি ভাষা ও স্পিচ থেরাপিতে আপনার কোনো লাভ না হয়, তবে আপনার ডাক্তার হয়ত কথোপকথনের জন্য অন্য কোনও উপায় সুপারিশ করতে পারেন। –
- ভাবভঙ্গি
- দৃশ্যগত ইঙ্গিত
- অক্ষরের বোর্ড
- কম্পিউটার যুক্ত কথোপকথন
জীবনশৈলী ও সাহায্য।
যদি আপনার বাকশক্তির রোগের জন্য অন্য লোকের আপনার কথা বুঝতে অসুবিধা হয়, তবে নিম্নলিখিত সুপারিশগুলি মেনে চললে আপনার কথোপকথন চালাতে সুবিধা হতে পারে –
- ধীরে কথা বলুন। যদি আপনি আস্তে কথা বলেন তবে অন্যরা হয়তো আপনাকে আরেকটু ভালো করে বুঝতে পারেন।
- ছোট ছোট বাক্য দিয়ে শুরু করেন। আসল কথোপকথন শুরু করার আগে একটি ছোট ভূমিকা দিয়ে শুরু করুন। এইভাবে শ্রোতারা বুঝতে পারবেন যে আপনি কী ব্যাপারে কথা বলছেন।
- নিশ্চিত করুন মানুষ বুঝছেন কিনা। বোঝার চেষ্টা করুন যে আপনি যা কথা বলছেন, সেগুলি মানুষেরা বুঝতে পারছে কিনা। আপনি স্পষ্ট ভাবে বোঝাতে পেরেছেন কিনা তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
- শর্টকাট ব্যবহার করুন। সবসময় কথা বলার পরিবর্তে আপনি কথোপকথনের জন্য কোন বার্তা লিখতে পারেন, ছবি আঁকতে পারেন অথবা ছবি ব্যবহার করতে পারেন।
যত্ন নেওয়া ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ বক্তব্য।
যদি আপনি ডিসারথ্রিয়ার ভোগা কারো যত্ন নিয়ে থাকেন, তবে তাদের সঙ্গে আরো ভালো করে কথোপকথন চালানোর জন্য আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মেনে চলতে পারেন –
- তাদের কথা বলার জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন তা দিন।
- তাদের ভুল সংশোধন করার চেষ্টা করবেন না অথবা তাদের বাক্য গুলিকে শেষ করে দেবার চেষ্টা করবেন না।
- হ্যাঁ বা না এর ভিত্তিতে কথা বলা ভালো।
- তারা যখন কথা বলছে তখন তাদের দিকে তাকিয়ে থাকুন
- আশেপাশের যাবতীয় আওয়াজ যথাসম্ভব কমানোর চেষ্টা করুন।
- হাতের কাছে সব সময় একটি পেন এবং কাগজ রাখুন।
- তাদের এমন অনুভব করাবেন না যে আপনার তার কথা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
- আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক এবং গতিতে কথা বলুন।
- স্বাভাবিক কথাবার্তায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
ডিসারথ্রিয়ার সম্ভাব্য জটিলতাগুলি কী কী হতে পারে?
ডিসারথ্রিয়ার কারণে কথোপকথনের সমস্যা হয় এবং আরও বেশ কিছু জটিলতা দেখা যেতে পারে, যা হলো নিম্নলিখিতগুলি –
- সম্পর্কের সমস্যা
- সামাজিক সমস্যা
- আইসোলেশন
- ডিপ্রেশন।
উপসংহার
যদি আপনি ডিসারথ্রিয়ার কোনো লক্ষণ লক্ষ্য করে থাকে, তবে তাদের অবহেলা করবেন না।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
- ডিসারথ্রিয়া কি সম্পূর্ণ আরোগ্যযোগ্য?
যদি দাঁতের ইমপ্ল্যান্টের কারণে ডিসারথ্রিয়া হয়ে থাকে, তবে এটিকে সারানো যেতে পারে। যদি মস্তিষ্কে আঘাত বা স্ট্রোকের কারণে এটি হয়ে থাকে, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এটিকে কিছুটা ভালো করা যেতে পারে। যদি মস্তিষ্কে আঘাত বা স্ট্রোকের কারণে এটি হয়ে থাকে, তবে যথার্থ চিকিৎসার মাধ্যমে আপনার উপসর্গগুলি ভালো হতে পারে। যদি স্বরযন্ত্র অথবা জিভের সার্জারির পরে আপনার ডিসারথ্রিয়া হয়ে থাকে, তবে যথার্থ চিকিৎসার মাধ্যমে উপসর্গগুলি ভালো করা সম্ভব।
- আমার বাচ্চার ডিসারথ্রিয়া আছে। তারা কি নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে?
ডিসারথ্রিয়া থাকার অর্থ এই নয় যে আপনার বাচ্চার বৌদ্ধিক দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তা কম। তাই, হ্যাঁ, সে অবশ্যই সাধারণ বিদ্যালয়ে যেতে পারবে। কিন্তু যদি আপনি তাদের কিছুটা সাহায্য করেন, তবে তাদের পক্ষে কথোপকথন করা সহজ হয়ে যাবে।
- ডিসারথ্রিয়ার চিকিৎসা করার জন্য আপনি কোন ডাক্তারকে দেখাবেন?
আপনি এসএলপি এবং ইএনটি বিশারদের (স্পিচ-ভাষা প্যাথোলজিস্ট) কাছে যেতে পারেন, যিনি যদি মনে করেন, আপনাকে একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে সুপারিশ করতে পারেন।