Verified By Apollo Gynecologist October 12, 2023
13765যৌনাঙ্গের হার্পিস হলো একটি যৌনবাহিত রোগ (এস টি ডি)। এই যৌনবাহিত সংক্রমণটি হারপেটিক ঘা তৈরি করে,যা হলো যন্ত্রণাদায়ক ফোস্কা (রসভর্তি ফোলা ঘা) যা ভেঙে খুলে যায় এবং রসস্রাব হয়। এই সংক্রমণটি পুরুষদের চেয়ে, মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি সাধারণ। একবার ছড়িয়ে গেলে, এই সংক্রমণটি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা যায় না এবং যাতে আরো না ছড়ায় তার জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন।
মানুষকে আক্রমণ করে, এরকম বেশ কয়েকটি যৌনবাহিত ভাইরাসের গোষ্ঠীকে হার্পিস বলা হয়। দুটি সাধারণ ধরনের হার্পিস সিম্প্লেক্স 1 ( HSV -1) এবং হার্পিস সিম্প্লেক্স 2 (HSV -2) দেখা যায় যা পুরুষ এবং মহিলাদের হয় যথাক্রমে, মৌখিক এলাকা অথবা যৌনাঙ্গের এলাকায় প্রভাবিত করে।
যৌনাঙ্গের সংক্রমণ হার্পিস সিম্প্লেক্স ভাইরাস (HSV) উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে, যেমন ভারতে, সবচেয়ে বেশি যৌনবাহিত সংক্রামিত রোগ। 2006 সালে দিল্লির STI চিকিৎসালয়ে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের 85 শতাংশের HSV-2 সংক্রমণ রয়েছে।
হারপিস সংক্রমণের নির্দেশক ছাপ হল পরিষ্কার থেকে সাদা মুক্তোর মতো ফোস্কা। এগুলি উভয়ই পুরুষ এবং মহিলার যৌনাঙ্গের যে কোন স্থানে উপস্থিত থাকতে পারে। নিতম্ব, মলদ্বার, পুরুষাঙ্গ, অণ্ডকোষ, যোনি, ভালভা এবং ল্যাবিয়া হলো পুরুষ এবং মহিলা উভয়দের জন্যই বিস্ফোরণের ক্ষেত্র। যেমন, নিতম্বের (মলদ্বারের কাছে অথবা পাশাপাশি) ওপরে ফোস্কা হওয়া হলো পুরুষদের ক্ষেত্রে খুব সাধারণ বৈশিষ্ট্য , যেখানে মহিলাদের ক্ষেত্রে যোনি, মলদ্বার এবং নিতম্বের আশে পাশে ফোস্কা বেরোনো সাধারণ লক্ষণ।
উভয় পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে হারপিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ হল:
যে দম্পতিরা প্রতিনিয়ত মিলন করেন, তাদের জন্য এটি বিরক্তিকর হতে পারে।
অনেকসময়, একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক ফোস্কা দেখে যৌনাঙ্গ হার্পিসের নির্ণয় করে দিতে পারেন। এটি নির্ণয়ের আরেকটি পদ্ধতি হলো, ফোস্কার ভেতরে থাকা তরলের নমুনা নিয়ে, সেটি তদন্তের জন্য বীক্ষণাগারে পাঠানো, যদিও এই “হার্পিস কালচার” সবসময় উঠতে এবং ভাইরাসকে চিহ্নিত করতে পারে না।
অন্যভাবে, রক্তে হার্পিস সিমপ্লেক্স 2 ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা যেতে পারে কিন্তু এটিও ভুল – নেগেটিভ ফলাফল দিতে পারে। একটু সম্পূর্ণ ডাক্তারি ছবি এবং তদন্ত যে কোনো অবস্থাকে আরো ভালোভাবে নির্ণয় করতে পারে।
যৌনাঙ্গের হার্পিসের স্থায়ী সমাধান নেই। যদিও, এই অবস্থা ঔষধের সাহায্যে পরিচালিত করা যেতে পারে। সাধারণত, অ্যান্টি-ভাইরাল ঔষধের সাহায্যে চিকিৎসা হয়। যদিও, এই ঔষধ পুরোপুরি ভাবে ভাইরাসকে মেরে ফেলতে পারে না। এই রোগটি সুপ্ত অবস্থায় শরীরে থাকে যতক্ষণ না তাকে পুনরায় ফিরে আসার জন্য কোনো কিছু উদ্দীপিত করছে। তারা প্রতিটি পুনরায় আসা সংক্রমণকে আরো সহনীয় করে তোলে এবং সংক্রমণের কারণের সময়কাল হ্রাস করে।
একজন গর্ভবতী মা এর গর্ভাবস্থার সময় খুব সতর্ক থাকা উচিত যেহেতু, জন্ম হয়নি এমন শিশুর ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এড়িয়ে চলা অবশ্যই উচিৎ। যৌনাঙ্গের হার্পিস গর্ভাবস্থার জটিলতা তৈরি করতে পারে যেমন গর্ভপাত অথবা অকাল জন্মের কারণ হতে পারে। সম্পূর্ণ গর্ভাবস্হায়, প্রসব এবং নবজাতকের নবজাতকের যত্ন সহ, অনুসরণ করা উচিত।
যৌনাঙ্গের হার্পিস অথবা অন্যান্য STD ছড়ানো প্রতিরোধ করার জন্য নিরাপদ যৌন মিলন অনুশীলন করা উচিত। একগামিতা হওয়া উচিত এবং প্রতি যৌন মিলনের সময় পলিইউরেথিন অথবা ল্যাটেক্স এর কন্ডোম ব্যবহার করা উচিত।
মনে রাখবেন, হার্পিস থাকা মানুষরা, হার্পিস না থাকা মানুষের তুলনায় দ্বিগুণ সম্ভাবনা রাখে HIV তে আক্রান্ত হওয়ার। এবং, হার্পিস এবং HIV থাকা মানুষদের তাদের সঙ্গীকে সংক্রমিত করার ভীষণ সম্ভাবনা থাকে। তাই, নিজেকে এবং নিজের সঙ্গীকে রক্ষা করার জন্য লিঙ্গ আবরক পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
The content is verified by our experienced Gynecologists who also regularly review the content to help ensure that the information you receive is accurate, evidence based and reliable