Verified By Apollo Ent Specialist October 6, 2023
8177কানের খোল অথবা সেরুমেন মানুষের কর্ণগহ্বরের মধ্যে অবস্থিত। কানের ঝরে পড়া ত্বক,বর্জ্যপদার্থ, সাবান বা শ্যাম্পু এবং ধুলো কর্ণগহ্বরের গ্রন্থি নিঃসৃত তরল পদার্থের সঙ্গে মিশে একটি মণ্ড তৈরি করে। এই হালকা বাদামি, গাঢ় বাদামি বা কমলা রঙের গাঢ় তরলকে কানের খোল বলে।
বেশিরভাগ মানুষ একটা গড় পরিমাণে কানের খোল উৎপাদন করেন যা তাদের বহিঃকর্ণে নিজে নিজেই চলে আসে। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অত্যধিক কানের খোল উৎপন্ন হয় যা কর্ণগহ্বরের পথ অবরুদ্ধ রেখে মানুষকে স্পষ্ট শুনতে বাধা দেয়। যদি কর্ণগহ্বরে কানের খোল দীর্ঘসময় ধরে থেকে যায় তবে এটা আরো শক্ত হয়ে যায় এবং তখন একে সরানো কঠিন হয়ে পড়ে।
কিছু লোকের ক্ষেত্রে একেবারেই জানা যায় না যে কেন তাদের অতিরিক্ত কানের খোল তৈরি হয়।
কানের কোনো সংক্রমণের পরে, অতিরিক্ত কানের খোল উৎপন্ন হতে পারে অথবা কানে কোনো ক্ষরণ হতে পারে যাকে কানের খোল বলে ভুল করে ভাবা হচ্ছে।
কিছু লোক অন্যদের তুলনায় বেশি কানের খোল সংক্রান্ত সমস্যা-প্রবণ হন। কানে অতিরিক্ত কানের খোল জমা হবার কারণে যে সব ব্যক্তিদের বেশি ঝুঁকি থাকে, তাঁরা হলেন:
যদি আপনার মনে হয় যে আপনার কানে অতিরিক্ত পরিমাণে খোল তৈরি হচ্ছে যা নিজে থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে না, তবে আপনার গৃহচিকিৎসক বা একজন নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিশারদকে দেখান। আপনার ডাক্তার অটোস্কোপ নামক একটি যন্ত্রের মাধ্যমে আপনার কর্ণগহ্বরের মধ্যে দেখবেন, কান পরীক্ষা করবেন এবং পরীক্ষা করে দেখবেন যে কানের পর্দার কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা। আপনাকে আপনার আগের ক্ষতের কথা জিজ্ঞাসা করা হবে, কানের সংক্রমণ বা সার্জারি হয়েছে কিনা অথবা এই কানের খোল জমা আগেও হয়েছে কিনা।
ডাক্তার দুই কানের শ্রবণশক্তি ক্ষমতা পরীক্ষা করবেন যা ক্লিনিকে কিছু সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে হবে।
কখনো কখনো পুঁজ বা কানের ক্ষরণকে কানের খোল বলে ভুল করা হয়; যদি সন্দেহ হয় তবে তরলটিকে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করতে পাঠানো যেতে পারে।
চুলের কাঁটা বা কোনো সূঁচালো জিনিস দিয়ে শক্ত বা অতিরিক্ত কানের খোল বের করার চেষ্টা করবেন না কারণ এতে কর্ণগহ্বরের ক্ষতি হতে পারে এবং কানের পর্দা বা কর্ণপটহ ফেটে হতে পারে। যদি ফুটো বড় হয় তবে ফাটা পর্দার সার্জারি করতে হতে পারে।
ডাক্তার কিউরেট নামক একটি ছোট যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন যা কানের খোল পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত হয়; এর পরিবর্তে কর্ণগহ্বরকে খুলে দিতে সাকশান পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। কানের খোলকে নরম করার জন্য কানের ড্রপও দেওয়া হতে পারে।
কানের খোলকে নরম করার জন্য খনিজ তেল বা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের কিছু ফোঁটা সমপরিমাণে জলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে কমপক্ষে দুইবার এটি পাঁচদিন করুন এবং তারপর বন্ধ করে দিন।
আরেকটা ভাল উপায় হল গরম জলে স্নান করা কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যাতে সাবান এবং শ্যাম্পু কানের ভেতর না ঢুকে যায়।
মনে রাখতে হবে যে কানের মধ্যে কিছু ঢোকানো উচিৎ না। কারণ, এর ফলে সমস্যাটি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে এবং চিরস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কানের ভেতরের অংশে খোঁচাবেন না।
যদি সমস্যাটি থেকেই যায় এবং না মেটে, তবে আপনার অবশ্যই একজন ডাক্তার দেখানো উচিৎ।
The content is medically reviewed and verified by experienced and skilled ENT (Ear Nose Throat) Specialists for clinical accuracy.