বাড়ি Health A-Z তামা কি করোনাভাইরাস আটকাতে পারে?

      তামা কি করোনাভাইরাস আটকাতে পারে?

      Cardiology Image 1 Verified By Apollo Doctors April 11, 2024

      769
      তামা কি করোনাভাইরাস আটকাতে পারে?

      দ্য কপার ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ(সিডিএ) একটি বিবৃতি জারি করেছে তামা এবং করোনা ভাইরাস নিয়ে, নীচে সেটি দেওয়া হল-

      সিডিএ-র প্রতি বহু মিডিয়া রিপোর্ট এবং জনসাধারণের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য যা স্বাধীন গবেষণালব্ধ তা থেকে জানা যাচ্ছে যে জীবানুরোধের কার্যকারিতা তামার প্রলেপহীন এবং তামা ধাতু সংকর নির্মিত পৃষ্ঠতল মানুষের প্যাথোজেনে একপ্রকার করোনাভাইরাসের স্ট্রেন(এইচইউকভ-২২৯ই) রিপোর্ট করা হয়েছে এমবায়োতে ওয়ার্নস ইট অল দ্বারা। (উদ্ধৃতি: https://doi.org/10.1128/mBio.01697-15)

      মিডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে – সম্প্রতি মার্কিন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এন্ড দ্য সেন্টার ফর ডিসিসেজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) -এর গবেষকরা বলছেন যে সার্স কভ-২ ভাইরাস যা কোভিড ১৯ রোগটির জন্য দায়ী, তা প্লাস্টিক এবং স্টেইনলেস স্টিল পৃষ্ঠতলে দু-তিনদিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকে, কিন্তু তামা নির্মিত পৃষ্ঠতলে যা মাত্র চারঘন্টা জীবিত থাকে। 

      উপরে উক্ত সার্স-কোভ২ ভাইরাস সংক্রান্ত দুটি পরিসীমিত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যেতে পারে তামা নির্মিত পৃষ্ঠতলে ভাইরাসটির কার্যক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য বিষয়টি নিয়ে অধিক গবেষণার প্রয়োজন আছে। 

      নিকোটিন  কি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সক্ষম? 

      ধূমপায়ীরা কোভিড ১৯ সংক্রান্ত বিষয়ে আরও দুর্বল হয়ে উঠছেন কেন না ধূমপানকালে (সিগারেট খাওয়ার সময়) আঙুলের ছোঁয়া ঠোঁটে লেগে যায় যার ফলে হাত থেকে ভাইরাস মুখে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধূমপায়ীরা যাদের ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ বা দুর্বল ফুসফুস  আগে থেকেই রয়েছে তাদের এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এবং ক্ষতির সম্ভাবনা  আরো বেশি। সম্প্রতি সঠিক ভাবে জানা সম্ভব হয়নি নিকোটিন এই ভাইরাসকে ফুসফুসে আটকে দেয় অথবা আটকাতে দেয় না। তাই এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয়, কারণ নিকোটিন প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিকর। এটি ধূমপানের নেশা সৃষ্টিকারী একটি মাদক দ্রব্য। ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক ও শারীরিক নানা সমস্যাসৃষ্টির মূল কারণ। 

      রেসভারেট্রল কি কোভিড ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়? 

      রেসভারেট্রল হল একটি রাসায়নিক উপাদান যা রেড ওয়াইনে, লাল আঙ্গুরের খোসাতে ও বেগুনি আঙ্গুরের রসে, মালবেরীতে ও খুব অল্প মাত্রায় চিনা বাদামে পাওয়া যায়। এতে থাকা অ্যান্টিভাইরাল আরএসভি মানুষের এবং কিছু পশুদেহে ভাইরাসঘটিত রোগনাশক হিসাবে দেখা গেছে।  এটি ভাইরাসের প্রোটিন সৃষ্টি করা দমন করে ভাইরাসের জিনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কিছু সীমা পর্যন্ত। যদিও এখনও পর্যন্ত রেসভারেট্রল সার্সকভ২ যা কোভিড ১৯ রোগটির জন্য দায়ী তাকে প্রতিরোধ করতে পারে এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। 

      কুইনাইন জল এবং জিঙ্ক কি কোভিড প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে? 

      নানা রিপোর্টে এও দাবি করা হচ্ছে যে জিঙ্ক এবং কুইনাইন জল যা টনিক ওয়াটারে থাকে তা কোভিড প্রতিরোধে বা এর চিকিৎসা করতে সক্ষম। 

      এটি সত্যি যে হাইডক্সিক্লোরোকুইন এবং কুইনাইন নিয়ে গবেষণা হচ্ছে যে এগুলি কোভিড ১৯ প্রতিরোধ করতে সক্ষম কিনা তবে টনিক ওয়াটারে থাকা অতি অল্প মাত্রায় নন-থেরাপিটিক কুইনাইন কোভিড১৯ এর উপর কোনো প্রভাবই ফেলতে পারে না। 

      রোগপ্রতিরোধকারী কোষের কার্যকারিতা বাড়াতে জিঙ্কের ব্যবহার হয়। জিঙ্কের অভাবে মানবদেহ ও কোষ প্রধান প্রাণীদেহের রোগপ্রতিরোধকারী কোষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। যদিও আমরা এখনো কোভিড১৯ রোগে জিঙ্কের এর প্রভাব সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে পারিনি তাই আমরা এই জাতীয় পরিপূরক অপর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে বলছি ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত।

      সোয়েভ্স  টনিক ওয়াটার এবং জিঙ্ক কী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে? 

      এখনো পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে সোয়েভ্স টনিক ওয়াটার এবং জিঙ্ক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সহায়তা করে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিরোধক হিসাবে নিজের হাত পরিষ্কার রাখুন এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়মবিধি পালন করুন। 

      করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য আমি কতটা পরিমাণে জিঙ্ক সেবন করতে পারি?

      এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিঙ্ক কিছুটা পরিমাণে সাধারণ  সর্দি-কাশির সময়সীমা  কমাতে সহায়তা করে। কিন্তু জিঙ্ক যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই বিষয়ে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। 

      পরিপূরক হিসেবে জিংক সেবনের ফলে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে, ইনফেকশন হয়ে থাকলে  তার স্থায়িত্বকাল কমে ও শ্বাসযন্ত্র  সুরক্ষিত থাকে। 

      প্রাথমিকভাবে জিঙ্ক সেবনের মাত্রা হল 40 মিলিগ্রাম প্রত্যেকদিন।  

      যদিও এই সংক্রান্ত কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি যার দ্বারা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে জিঙ্ক কোভিড ভাইরাস প্রতিরোধ করতে কার্যকরী অথবা কোভিড রোগের চিকিৎসায় জিঙ্ক ব্যবহৃত হয়। জিঙ্ক কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে কিনা এই বিষয়ে তথ্য সুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের আরো অনেক গবেষণার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কোভিড১৯ রোগের নিরাময়ের জন্য নিজে যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন, অ্যান্টিবায়োটিক অথবা কোনো রকমের ওষুধ ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করবেন না। 

      ডেটল কি কোভিড১৯  রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকরী? 

      আপনি নিজের পরিচ্ছন্নতার জন্য ও কোভিড সংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেকদিন ছোঁয়া হয় এমন বস্তু সমূহ যেরকম (টেবিল, দরজার হাতল, লাইটের সুইচ, হ্যান্ডেল, টয়লেট, বেসিন, ইলেকট্রনিক বস্তুসমূহ) অ্যালকোহল বেস স্যানিটাইজার অথবা জলে মিশ্রিত ব্লিচ দিয়ে পরিষ্কার করুন। 

      কোভিড ভাইরাস থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো বারবার হাত দুটি স্যানিটাইজ করা এবং সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কিত বিধি কঠোরভাবে পালন করা। 

      কোভিড-১৯ সংক্রান্ত আরো অন্যান্য ব্লগগুলি পড়ুনঃ

      Which Hand sanitizer is effective against Corona Virus?

      Impact of COVID-19 on People with Diabetes

      How is COVID-19 diagnosed?

      Does coconut oil help in COVID-19?

      What is the role of Apple cider vinegar in coronavirus infection ?

      https://www.askapollo.com/

      At Apollo, we believe that easily accessible, reliable health information can make managing health conditions an empowering experience. AskApollo Online Health Library team consists of medical experts who create curated peer-reviewed medical content that is regularly updated and is easy-to-understand.

      Cardiology Image 1

      Related Articles

      More Articles

      Most Popular Articles

      More Articles
      © Copyright 2024. Apollo Hospitals Group. All Rights Reserved.
      Book ProHealth Book Appointment
      Request A Call Back X