সংক্ষিপ্ত বিবরণ
হাঁটু প্রতিস্থাপনের সার্জারি— যা হাঁটুর আর্থোপ্লাস্টি নামেও পরিচিত, করালে গুরুতর অসুস্থ হাঁটুর ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যেতে পারে এবং হাঁটু আবার আগের মতো সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এই প্রসিডিওর বা চিকিৎসা পদ্ধতিতে আপনার উরুরহাড়, পায়ের হাড় ও হাঁটুর হাড়ে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত হাড় ও তরুণাস্থিকে কেটে বের করে নিয়ে তার জায়গায় সংকর ধাতু, উচ্চ গ্রেডের প্লাস্টিক ও পলিমার দিয়ে তৈরি কৃত্রিম অস্থি সন্ধি (প্রোস্থেসিস) বসিয়ে দেওয়া হয়।
হাঁটু প্রতিস্থাপন করাটা আপনার পক্ষে ঠিক হবে কি না তা বোঝার জন্য অস্থি রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন আপনার হাঁটুর গতিশীলতা, স্থায়িত্ব ও জোর কতখানি আছে তা পরীক্ষা করে দেখবেন। কতখানি ক্ষতি হয়েছে তা জানতে সাহায্য করে এক্স-রে।
আপনার বয়স, ওজন, কাজকর্ম করার মাত্রা, হাঁটুর আকার ও আকৃতি ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের হাঁটু প্রতিস্থাপনের প্রোস্থেসিস ও সার্জিক্যালটেকনিকের মধ্যে থেকে পছন্দ মতোপ্রোস্থেসিস ও টেকনিক বেছে নিতে পারেন।
কেন এটা করা হয়
আর্থারাইটিস বা বাত মানে হল গাঁটের ব্যথা। হাড়ের প্রান্তগুলো আস্তে আস্তে ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে গাঁটগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাগুলো ছোট হয়ে আসে, এই ভাবে হাড়ের উপর ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়, তখন হাড়েরগতিশীলতার পরিবর্তন হয়ে খুব ব্যথা হতে থাকে। এই অবস্থার চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হল হাঁটু প্রতিস্থাপনের সার্জারি এবং এটা করালে হাঁটুরও স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের ক্ষমতা ফিরে আসে।
বিভিন্ন ধরনের আর্থারাইটিস আছে। যেমন:
অস্টিও-আর্থারাইটিস
আর্থারাইটিস যাঁদের বংশগত রোগ তাঁদের 50 বছর বয়সের পর এটা হয়। হাঁটুর হাড়কেঢেকে রাখা কোষকলাগুলো নরম হয়ে ক্ষয়ে যায়। তখন হাড়গুলোর একে অপরের সঙ্গে ঘষা লেগে হাঁটুতে ব্যথা হয় এবং হাঁটু মোড়া যায় না।
রিউমাটয়েডআর্থারাইটিস
এই রোগে গাঁটের ভিতরকার ঝিল্লি মোটা হয়ে গিয়ে প্রদাহের সৃষ্টি করে। এর ফলে গাঁটকে পিচ্ছিল করা ফ্লুইড অতিরিক্ত পরিমাণে তৈরি হতে থাকে। বারে বারে প্রদাহ বা ক্রনিকইনফ্লেমেশন হলে হাড়ের প্রান্তগুলোকে ঢেকে রাখা কোষকলাগুলোর ক্ষতি হয় এবং অবশেষে কোষকলা বিলুপ্ত হয়ে ব্যাথা হয় ও নড়াচড়া করা যায় না।
ট্রমাটিক আর্থারাইটিস
হাঁটুতে গুরুতর আঘাতের জন্য এটা হতে পারে। হাঁটু ভাঙলে বা হাঁটুকে যুক্ত করা কোষকলাগুলো খুব বাজে ভাবে ছিঁড়ে গেলে হাড়ের প্রান্তগুলোকে ঢেকে রাখা কোষকলাগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হতে থাকে, এর ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয় এবং হাঁটুর ক্রিয়াকলাপ সীমিত হয়ে যায়।
লক্ষণ
গাঁটে খুব ব্যাথা হয়। তার ফলে রোজকারকাজকর্ম করতে অসুবিধা হয়। যেমন হাঁটাচলা করা, সিঁড়ি ওঠা ও চেয়ার ছেড়ে ওঠা।
বিশ্রাম নেওয়ার সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
ওষুধ খেয়ে এবং বিশ্রাম নিয়েও গাঁটের প্রদাহ ও ফোলা ভাব কমানো যায় না।
গাঁটের বিকৃতি
গাঁট শক্ত হয়ে যায় বা স্বাভাবিক ভাবে গাঁটকে নড়াচড়া করা যায় না।
কী ভাবে প্রস্তুতি নেবেন
খাদ্য ও ওষুধ
সার্জারির আগে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ও ডায়েটারিসাপ্লিমেন্ট খেতে বারণ করতে পারেন আপনার ডাক্তার বা অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট। সার্জারির দিনের আগের মাঝরাতের পর কোনও কিছু না-খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে আপনাকে।
সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রস্তুতি
এই চিকিৎসা পদ্ধতির পরে বেশ কয়েক সপ্তাহ আপনাকে ক্রাচে ভর দিয়ে বা ওয়াকারের সাহায্য নিয়ে হাঁটাচলা করতে হতে পারে, তাই সার্জারির আগেই এসবের ব্যবস্থা করে রাখুন। আপনাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসার জন্য কেউ যেন থাকে এবং আপনার রোজকারকাজকর্মে যেমন রান্নাবান্না, স্নান ও কাপড় ধোয়া ইত্যাদি কাজ করে দেওয়ার মতো লোকও যেন থাকে। আপনি যদি একা থেকে থাকেন, তাহলে আপনার সার্জনের স্টাফ বা হাসপাতালের ডিসচার্জপ্ল্যানার আপনাকে একজন অস্থায়ী কেয়ারটেকার নেওয়ার কথা বলতে পারেন।
আপনি কী আশা করতে পারেন
চিকিৎসা পদ্ধতি বা প্রসিডিওরের আগে
হাঁটু প্রতিস্থাপনের সার্জারির জন্য অ্যানেস্থেসিয়ার প্রয়োজন হয়। আপনার নিজের মত ও পছন্দের কথা জানতে পারলে টিমের এই সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে যে জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়াকরা হবে না কি স্পাইনালঅ্যানেস্থেসিয়া করা হবে। প্রথমটায় আপনি অচেতন হয়ে পড়বেন এবং পরেরটায় আপনি জেগে থাকবেন কিন্তু কোমরের নীচে কোনও ব্যথা অনুভব করতে পারবেন না।
সার্জারির পরে যাতে কোনও সংক্রমণ না-হয় তার জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করার আগে, এই পদ্ধতি চলাকালীন এবং এর পরে আপনাকে ইন্ট্রাভেনাসঅ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে। আপনার হাঁটুকে অবশ করে দেওয়ার জন্য তার চারপাশে একটা নার্ভ ব্লকও দেওয়া হতে পারে।
চিকিৎসা পদ্ধতি চলাকালীন
গাঁটের সমস্ত পৃষ্ঠতল যাতে দেখা যায় তার জন্য আপনার হাঁটুকে বেঁকিয়ে রাখা হবে। প্রায় 6 থেকে 10 ইঞ্চি (15 থেকে 25 সেন্টিমিটার) ছেদ করার পর আপনার সার্জন আপনার হাঁটুর হাড়ের কাছে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাঁটের পৃষ্ঠতল কেটে বের করে দেবেন।
গাঁটের পৃষ্ঠতল তৈরি করার পর কৃত্রিম গাঁটের টুকরোগুলোকে জোড়া লাগাবেন সার্জন। ছেদ বন্ধ করার আগে তিনি আপনার হাঁটুকে বেঁকিয়ে ও ঘুরিয়ে দেখবেন যে হাঁটু ক্রিয়াকলাপ ঠিক ভাবে হচ্ছে কি না। এই সার্জারি প্রায় দুই ঘণ্টা চলবে।
চিকিৎসা পদ্ধতির পর
আপনাকে এক থেকে দুই ঘণ্টার জন্য রিকভারি রুমে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর সেখান থেকে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে আপনার হাসপাতালের কক্ষে। সেখানে আপনাকে আরও দু দিন থাকতে হতে পারে। ডাক্তারের বলে দেওয়া ওষুধ খেলে ব্যথা কমবে।
আপনি যখন হাসপাতালে থাকবেন, তখন আপনাকে পায়ের পাতা ও গোড়ালিনড়াচড়া করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হবে। এ রকম করলে আপনার পায়ের পেশিগুলোতেরক্তপ্রবাহবাড়বে। যার ফলে পা ফুলবে না এবং রক্তও জমাট বাঁধবে না। পা যাতে না-ফোলে এবং রক্ত জমাট না-বাঁধার জন্য আপনাকে ব্লাড থিনার দেওয়া হতে পারে, সাপোর্টহোস বা কমপ্রেশনবুটপরানো হতে পারে।
আপনাকে ঘন ঘন শ্বাসের ব্যায়াম করতে বলা হবে এবং আস্তে আস্তে আপনার কাজকর্ম করার মাত্রা বাড়াতে বলা হবে।
সার্জারির পরদিনই একজন ফিজিক্যালথেরাপিস্ট আপনাকে দেখিয়ে দেবে, কী ভাবে নতুন হাঁটু নিয়ে ব্যায়াম করতে হবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে আপনাকে নিজের বাড়িতে বা কোনও সেন্টারে ফিজিক্যালথেরাপি চালিয়ে যেতে হবে।
আপনাকে বলে দেওয়া নিয়ম মেনে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য ক্ষতের পরিচর্যা, আহার ও ব্যায়াম সংক্রান্ত যেসব নিয়ম মেনে চলতে বলবে আপনার পরিচর্যাকারীটিম সেসব মেনে চলুন।
বেশির ভাগ লোকই হাঁটু প্রতিস্থাপনের পর ব্যাথা থেকে মুক্তি পান, তাঁরা আগের চেয়ে অনেক ভাল করে চলাফেরা করতে পারেন এবং তাঁদের জীবনযাত্রার মানও আগের চেয়ে ভাল হয়ে যায়। বেশির ভাগ হাঁটু প্রতিস্থাপনই 15 বছরের বেশি সময় ধরে থাকে।
সার্জারির হওয়ার তিন থেকে ছয় সপ্তাহ পরেই আপনি সাধারণ ভাবে নিজের বেশির ভাগ দৈনন্দিন কাজকর্ম যেমন বাজার করা ও ঘরদোর পরিষ্কার করার মতো হালকা কাজ করা ইত্যাদি করতে পারবেন। গাড়িতে বসার মতো করে আপনি নিজের হাঁটু মুড়তে পারলে, ব্রেক ও অ্যাক্সিলারেটরঅপারেট করার জন্য পেশিগুলোকে যথেষ্ট পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এবং আপনি যদি ব্যথা উপশমকারীনার্কোটিক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে থাকেন, তাহলে প্রায় তিন সপ্তাহ পরে গাড়িও চালাতে পারবেন।
সুস্থ হয়ে ওঠার পর আপনি কম চাপ পড়া বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন। যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা, গল্ফ খেলা বা বাইক চালানো। কিন্তু বেশি চাপ পড়ার মতো কাজ করা বন্ধ করুন। যেমন জগিং, স্কি করা, টেনিস খেলা ও হাঁটু মুড়ে থাকা বা ঝাঁপাঝাঁপি করার মতোখেলাধুলো। আপনি কী কী করতে পারবেন না সে ব্যাপারে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিন।
অ্যাপোলো হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়ে থাকে
অ্যাপোলো হাসপাতাল, ভারতে হাঁটুর এইসব সার্জারি ও চিকিৎসা করা হয়:
সম্পূর্ণ হাঁটু প্রতিস্থাপন
যেসব রুগিরা গুরুতর আর্থারাইটিসে ভুগছেন, যার জন্য তাঁদের প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগতে হয় এবং এমনকী দৈনন্দিন কাজকর্ম করাতেই সমস্যা হয়, তাঁদের জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হল সম্পূর্ণ হাঁটু প্রতিস্থাপন। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে হাড় ও কোষকলার সমস্ত অসুস্থ অংশকে বাদ দেওয়া হয় এবং তার জায়গায় ধাতু ও উচ্চ ঘনত্বের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি কাঠামো বসিয়ে দেওয়া হয়। যার সাহায্যে গাঁটগুলোকে স্বাভাবিক ভাবে নড়াচড়া করা যায়। এই সার্জারির সময় হাঁটুর অন্যান্য বিকৃতিকেও ঠিক করে দেওয়া হয়।
আংশিক হাঁটু প্রতিস্থাপন
যেসব আর্থারাইটিসরুগির হাঁটুর শুধু একটা অংশই ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের জন্য মিনিম্যালিইনভেসিভপ্রসিডিওর বা চিকিৎসা পদ্ধতিই ভাল। আংশিক হাঁটু প্রতিস্থাপনে অসুস্থ অংশকে বাদ দিয়ে তার জায়গায় ধাতব ইমপ্লান্টবসানো হয়।
হাই টিবিয়ালঅস্টিওটমি
অস্টিওনমি হল এমন এক সার্জারি, যেটা করে গাঁটের হাড়গুলোর আকার ঠিক করা হয় এবং হাড়গুলোকে আবার ঠিকঠাক জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়। খুবই কম বয়সী রুগিরআর্থারাইটিসে এই চিকিৎসা করা হয় এবং যাদের গাঁটের কোটরগুলো অগভীর থাকে তাদের জন্যই বিশেষ করে এই চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাই টিবিয়ালঅস্টিওটমিতেটিবিয়া বা জঙ্ঘাস্থির- পায়ের নীচের অংশ গড়ে তোলা অন্যতম প্রত্যঙ্গ- উপরের অংশকে পুনরুদ্ধার করা হয়। এখানকার হাড়ের ছোট একটা অংশকে সরিয়েই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটা করা হয়।
অর্থোগ্লাইডমেডিয়াল নি সিস্টেম ব্যবহার করে মিনিম্যালিইনভেসিভ নি রিপ্লেসমেন্ট (রিসারফেস) সার্জারি (MIKRS)
অর্থোগ্লাইড হল কীলক আকৃতির একটি ধাতব ডিভাইস। নতুন ধরনের এই ইমপ্লান্টকে হাঁটুর ভিতরের ক্ষয়ে যাওয়া তরুণাস্থির জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ হাঁটু প্রতিস্থাপনের তুলনায় এই পদ্ধতি রুগিদের কম ইনভেসিভ দেওয়ার মতো বিকল্প পদ্ধতি।এইডিভাইসটাকে 5 থেকে 7 সেন্টিমিটারের ছেদের মধ্য দিয়ে হাঁটুর ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এটা চাপকে কমিয়ে দেয়, গাঁটের সঠিক শ্রেণিবিন্যাসকে এটা ফিরিয়ে আনে, ভারকে অনেক বেশি সমান ভাবে ছড়িয়ে দেয় এবং স্থায়িত্ব বাড়ায়। এই সার্জারি নিশ্চিত ভাবে কম ব্যয় সাপেক্ষ এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রার কাজকর্মে ফিরে আসার একটা সহজ পথ এটা। এবং যেসব সক্রিয় ও তরুণ রুগি বড় সার্জারি করানো নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান এবং সার্জারির পরে হাঁটুর আর্থারাইটিস থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘ দিন ধরে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে বলে ভাবতে থাকেন, তাঁদের জন্য নিশ্চিত ভাবে এটা এক নতুন আশার আলো।
এই সার্জারির সবচেয়ে বড় সুবিধা এই যে স্ট্যান্ডার্ড ধরনের সম্পূর্ণ হাঁটু প্রতিস্থাপনের তুলনায় এর খরচ কম এবং এই সার্জারি করালে স্বাভাবিক জীবনেও তাড়াতাড়ি ফিরে আসা যায়। যার ফলে রুগিরা খুব দ্রুত তাঁদের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবন যাপন শুরু করতে পারেন। এই সার্জারি করালে রুগিরা সহজেই বাবু হয়ে ও হাঁটু মুড়ে বসতে পারেন। এই ভাবে বসাটা ভারতের দৈনন্দিন জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হাঁটু প্রতিস্থাপনের প্রচলিত সার্জারিতে এটা সম্ভব হয় না। সর্বোপরি, রুগি বৃদ্ধ না-হওয়া পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় বার হাঁটু প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন না-হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ হাঁটু প্রতিস্থাপন অনেক বছর পর করার সুবিধা পাওয়া যায় অর্থোগ্লাইডের ফলে।
মোট হাঁটু প্রতিস্থাপনের বিপরীতে, সর্বনিম্ন আক্রমণাত্মক হাঁটু প্রতিস্থাপন (পুনরুত্থান) শল্য চিকিত্সা 2 ইঞ্চি চক্রের সাথে জড়িত, প্রাকৃতিক হাড়ের কোন কাটা নেই, জয়েন্টটি অক্ষত থাকে, পেশীর কোনও কাটা পড়ে না তাই রক্তপাত হয় না, কম ব্যথা হয়, কম সংক্রমণ হয় না less জটিলতা, দ্রুত পুনরুদ্ধার, একই দিনে হাঁটতে পারে, সার্জারি ডে কেয়ার সার্জারি হিসাবে সঞ্চালিত হতে পারে এবং তাই হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না।
রুগি জন্য নির্দিষ্ট জিগ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ হাঁটু প্রতিস্থাপন
রুগি জন্য নির্দিষ্ট জিগ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ হাঁটু প্রতিস্থাপন করাটা এই ক্ষেত্রে নতুন এক সর্বাধুনিকপ্রযুক্তি। রুগির হাঁটু ও পায়ের সিটি স্ক্যান ইমেজ ব্যবহার করে অপারেশনের আগেই কাস্টমাইজডকাটিংব্লক তৈরি করা হয়। তারপর এই ব্লকগুলো দিয়ে সার্জারি করা হয়। এই প্রযুক্তি হাঁটুর প্রোস্থেসিসকে শুধুই আরও বেশি নিখুঁত করে তোলে না, বরং এতে অপারেশনের সময়ও কম লাগে, রক্তক্ষয় কম হয়, বেশি নিখুঁত হয়, সার্জিক্যালের ফল বেশি করে পাওয়া যায়, হাসপাতালে বেশি দিন থাকতে হয় না এবং খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
আদর্শ হাঁটু
অ্যাটিউনরোটেটিং প্ল্যাটফর্ম হাঁটু প্রতিস্থানের সঙ্গে মিনিম্যালিইনভেসিভসাবভ্যাস্টাসটেকনিক হল সাম্প্রতিকতমঅত্যাধুনিকটেকনিক। এই টেকনিকেঅপারেশন করালে কোনো ব্যথা হয় না এবং হাঁটুর চিরাচরিত সার্জারির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও এতে ভুগতে হয় না। আমরা হাই-ফ্লেক্সনইমপ্লান্ট ব্যবহার করি বলে সার্জারির পর অ্যাপোলো হাসপাতাল এই নিশ্চয়তা দেয় যে হাঁটু সুস্থ থাকার সময় রুগিরা আগে যে রকম গাঁটের নমনীয়তা পেতেন, একেবারে সেরকমইনমনীয়তা তাঁরা এই টেকনিকে করা সার্জারির পরেও পাবেন। ভারতে অ্যাটিউনরোটেটিং প্ল্যাটফর্ম হাঁটু প্রতিস্থাপন এবং অন্যান্য মিনিম্যালিইনভেসিভপ্রসিডিওরের ক্ষেত্রে অ্যাপোলো হাসপাতাল হল পথিকৃৎ।